বাংলাদেশ- ভারত বানিজ্য ঘাটতিঃ
ভারতের সাথে চলছে আমাদের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি।আর তা জ্যামিতিক হারে দিন দিন বেড়েই চলছে।ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিভাগের এক জন নিবেদিত ছাত্র হিসেবে কেন এত বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছি এবং আপনাদের সামনে তার সংক্ষিপ্তাকারে উপস্থাপন করছি।
ভারত-বাংলাদেশ বানিজ্য ঘাটতির কারণগুলো নিম্ন রুপঃ
১. রাজনৈতিক/কুটনৈতিক সদিচ্ছা।
২. বৈষম্য মূলক শূল্ক/কর আরোপ।
৩.অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি।
৪.ভারতীয় বিনিয়োগ কম।
৫. রাজ্য সরকারের খামখেয়ালী ।
৬. ভারতের স্পর্শকাতর পণ্যের তালিকায় বাংলাদেশের ৪৬০ টি পণ্য।
৭. পণ্যর ল্যাবরেটরি পরীক্ষা।
৮.এন্টি ডাম্পিং।
৯. পণ্যবাহী যানবাহনের পার্কিংয়ে অসুবিধা।
১০. ভারতীয় কাস্টমসের স্বেচ্ছাচারিতা ।
১১. স্থলপথে পণ্য রফতানির বাধা ইত্যাদি।
২. বৈষম্য মূলক শূল্ক/কর আরোপ।
৩.অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি।
৪.ভারতীয় বিনিয়োগ কম।
৫. রাজ্য সরকারের খামখেয়ালী ।
৬. ভারতের স্পর্শকাতর পণ্যের তালিকায় বাংলাদেশের ৪৬০ টি পণ্য।
৭. পণ্যর ল্যাবরেটরি পরীক্ষা।
৮.এন্টি ডাম্পিং।
৯. পণ্যবাহী যানবাহনের পার্কিংয়ে অসুবিধা।
১০. ভারতীয় কাস্টমসের স্বেচ্ছাচারিতা ।
১১. স্থলপথে পণ্য রফতানির বাধা ইত্যাদি।
এই বানিজ্য ঘাটতির মূল এবং প্রধান কারণ বাংলাদশী পন্যের রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের শুল্ক ও শুল্ক বহির্ভুত সমস্যা।যেমন:ভারতে কোনো পণ্য রপ্তানি করতে হলে রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানটির রপ্তানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্কের পাশাপাশি ১৪ শতাংশ কাস্টমস ভ্যালুয়েবল ডিউটি বা সিভিডি,২ শতাংশ শিক্ষা সিভিডি ,২ শতাংশ নিম্ন শিক্ষা শুল্ক,২ শতাংশ উচ্চ শিক্ষা শুল্ক এবং আরও ২ শতাংশ বিশেষ শুল্কসহ মোট ৩২ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়।
এ ছাড়া ভারতে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পন্য পরিবহনে দিতে হয় আরও ৪ শতাংশ বাড়তি শুল্ক। বিক্রয়লব্ধ অর্থ থেকে শুল্ক ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে একলাফে করেছে ১৩ শতাংশ।
এ ছাড়া ভারতে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পন্য পরিবহনে দিতে হয় আরও ৪ শতাংশ বাড়তি শুল্ক। বিক্রয়লব্ধ অর্থ থেকে শুল্ক ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে একলাফে করেছে ১৩ শতাংশ।
পরিসংখ্যানঃ
সর্বশেষ বানিজ্য মন্ত্রীর তথ্যানুযায়ী,দেশটি থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে ৫ হাজার ৮১১ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। আর ৫২৭ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ।মোট বানিজ্য ঘাটতি একবছরে ৫ হাজার ২৮৪ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১০ বছর আগে ২০০৫-২০০৬ অর্থ বছরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যের ঘাটতি ছিল ১৬০ কোটি ডলার। ১০ বছরে এই ঘাটতি বেড়েছে ৪২২ কোটি ডলার। অর্থাৎ বিগত ১০ বছরে ঘাটতির পরিমাণ বেড়েছে টাকার হিসাবে ৪৫ হাজার কোটি টাকা। গত একবছরের ব্যবধানে ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ৩৩.৭৬% ।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১০ বছর আগে ২০০৫-২০০৬ অর্থ বছরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যের ঘাটতি ছিল ১৬০ কোটি ডলার। ১০ বছরে এই ঘাটতি বেড়েছে ৪২২ কোটি ডলার। অর্থাৎ বিগত ১০ বছরে ঘাটতির পরিমাণ বেড়েছে টাকার হিসাবে ৪৫ হাজার কোটি টাকা। গত একবছরের ব্যবধানে ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ৩৩.৭৬% ।
তথ্য সূত্র্যঃ বিভিন্ন সংবাদপত্র (বণিক বার্তা,ইত্তেফাক,ইনকিলাব)
বাংলাদেশ ব্যাংক ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) রিপোর্ট।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) রিপোর্ট।
রচনা ও সংকলনেঃ এস এম কামাল হোসেন। ( বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক
বিভাগের একজন নিবেদিত ছাত্র)
বিভাগের একজন নিবেদিত ছাত্র)
x
Post a Comment