Header Ads

Bangladesh Is a .....

“আমার লেরি লেরি ৫টা আর সতীনের ভুইচ্চা ভুইচ্চা ২ টা ”

আমার লেরি লেরি ৫টা আর সতীনের ভুইচ্চা ভুইচ্চা টা
=======================================
লেখক:এস.এম.কামাল হোসেন
আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে দলীয় ভাবে আওয়ামীলীগইতত্তাবধায়ক সরকারনামক একটা সরকারের পৈতৃক ঔরশের দাবীদার যদিও তার জিনদাতা আবার বি.এন.পি।একসময়ের শ্বৈরশাসক, বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পাপেট,বিশ্ব বেহায়া,বিশ্ব লুচ্চা এরশাদ কে পতন ঘটিয়ে ১৯৯১ জনতা যখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বি.এন.পিকে বসালো ঠিক তার কিছু দিন যেতে না যেতেই আওয়ামীলগের ক্ষমতায় যাওয়া পেটে ব্যথা অনুভূত হল। সেই সাথে তারা এও অনুভব করল যেতত্তাবধায়কনামক একটি সরকার ছাড়া তাদের সে ব্যথার ফুল ফুটবে না। তাই তারা শত শত দিন হরতাল,অবরোধ এবং পরিশেষে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে তাদের সে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রেগন্যান্সিকে তড়াতন্বিত করল।পরিশেষে ১৯৯৬ তে তারা সফলও হল।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০০১ দেশের মানুষের ভোটের মাধ্যমে বি.এন.পি আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হয়। এর কিছু দিন যেতে না যেতেই অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তৎকালীন(২০০১-২০৬) চারদলীয় জোট সরকারের আমলে আওয়ামী তার মিত্ররা জোড়েসোড়ে এক বিশাল অভিযোগ নিয়ে জাতির সামনে হাজির হয়েছিল। তাদের অভিযোগটা সেদিন থেকে মাত্রা পেতে শুরু করল যে দিন থেকে সরকার আইন করে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি কে.এম. হাসানের চাকুরীর মেয়াদ দুবছর বাড়ানো হলো।এর ফলে আওয়ামী শিবিরের অভিযোগ হলো- প্রধান বিচারপতি কে.এম.হাসান একজন বি.এন.পি অনুরাগী লোক।কোন কালে তিনি নাকি বি.এন.পি আর্ন্তজাতিক সম্পাদক ছিলেন ! ফলে রাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী তিনি যদি তত্তাবধায়ক সরকারের প্রধান হন এবং তার অধীন যদি একটা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে সে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু গ্রহণযোগ হবে না। সুতরাং তার অধীনে আওয়ামী শরীর সহ আরও কংকাল সারশূণ্য তেরটি মোট চৌদ্দ দল সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না এবং সে নির্বাচন দেশে হতেও দেবে না।সে সময় এরকম একটা স্পষ্ট আওয়ামী উচ্চারন উচ্চারিত হতে লাগলো দেশের ভিতরে বাহিরে। অত:পর দেশ জাতীর সামনে একটি বিরাট সমস্যার ঘনঘটা দেখা দিল।ক্ষমতাশীল বি.এন.পি জোট সরকার তাদের ঐচ্ছিক আইন করার কারণে কিছুটা দায়বোধ লজ্জা বোধ হয়ত অনুভব করেছিল তাই তারা দেশ জাতির কল্যাণার্থে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সেদিন উদাত্ত্ব আহব্বান জানিয়েছিলেন খোলামেলা আলাপ আলোচনা করে জাতীয় সমস্যা সমাধান করার। আওয়ামী জোটের হাড্ডিসার-কংঙ্কাল ছাড়াই সেদিন আওয়ামীলীগ সে আলোচনা নামক সংলাপে অংশগ্রহণ করেছিল।এ সংলাপে অংশগ্রহণ করেছিল বি.এন.পি তৎকালীন মহাসচিব মান্নান ভূঁইয়া আওয়ামীলীগের তৎকালীন সেক্রেটারি আব্দুল জলিল বর্তমানে উভয়েই প্রায়ত এই দুই নেতার সংলাপের মাঝে আমরা তাদের মুখ থেকে এমনও শুনেছি যে,“আলোচনায় আমরা খুব কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছেছি পরিশেষে সংলাপে দেখলাম যে আওয়ামীলীগ যে আম চেয়েছে বি.এন.পি সে আম মেনে নেয়নি।ফলে রাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী সময়মত বি.এন.পি. ক্ষমতা ছেড়ে দিল। আওয়ামীলীগ যেহেতু চায়নি সেহেতু তখনকার সদ্যবিদায়ী প্রধান বিচারপতি কে.এম. হাসান ক্ষমতা না নেওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা গেল বি.এন.পিরই রেখে যাওয়া প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিনের হাতে।সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করল। আওয়ামীলীগ সেদিন লঘি বৈঠা নিয়ে সে সরকার তথা নির্বাচনকে প্রতিহত করল। দেশে রক্তারক্তি সংঘাত শুরু হল।ঢাকা সহ সারাদেশে একদল লোক অস্ত্রসহ প্রকাশ্য মানুষের বাড়িঘর, ব্যবসাবানিজ্যে আগুন,হামলা,ভাঙ্চুর এমনকি খুন খারাবিতে মেতে উঠল।লঘি বৈঠার তান্ডব আর ক্ষমতার উম্মদানার নেশায় একদল মানুষ সেদিন পাগলা কুকুরের চেয়েও অধম আদিম উম্মাদনায় মেতে উঠেছিল। তাই তো তারা সেদিন লঘি বৈঠা নিয়ে খোদ রাজধানীর বুকেই হাজার হাজার নিরস্ত্র মানুষের উপর হায়নার মত ঝাঁপিয়ে পরে শত শত মানুষ কে খুন, জখম করেছিল। শুধু কি তাই? -১০ জনকে সাপের মতো পিটিয়ে হত্যা করে তাদের বুকের উপর তারা সেদিন আদিম নৃত্য করেছিল। বিশ্ব মানবতা সেদিন লজ্জায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল !
ফলে বন্দুকের নলের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসীন হয় মঈন-ফখরুদ্দিন নামের তথাকথিত একটি দলের আন্দোলনের ফসল ভারত সেনা সমর্থিত যৌথ সরকার।বানরের রুটি ভাগের মত তারা বি.এন.পি সব রুটি খেয়ে বাকীটা আন্দোলনকারীর আন্দোলনের ফসল নবম সংসদ নির্বাচন-২০০৮ এর নির্বাচনের ফল আওয়ামীলীগের ঘরে তুলে দিয়ে বিদেশে গিয়ে তারা এখন মনের সুখে পিৎজা বিক্রি করছেন।
ক্ষমতায় আসীন হয়ে আওয়ামীলীগ ইতিমধ্যে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল গ্রন্থের বেশ কয়েক পৃষ্ঠা সংযোজন বিয়োজন করেছেন। করেছেন তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য।এর ফলে বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র চালু হয়েছে স্বয়ং গণতন্ত্রের জনকও তা যদি দেখতেন তাহলে তিনি লজ্জা বোধ করতেন ! বিনা ভোটে ১৫৩ সীটের পার্লামেন্ট। একই সাথে একটি দল সরকারের মন্ত্রীত্ব আবার বিরোধী দলের আসনেও আসীন। শুধু কী তাই একটি দলের বিরোধী দলের নেতা হবেন কে তা নির্ধারণ করে দেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি | বিরোধী দলের দলীয় প্রধান আবার সরকার প্রধানের উপদেষ্টা। এমন সুখের পার্লামেন্ট মনে হয় বেহেশতেও অকল্পনীয় ! সত্যিকারে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সারা দেশে খুন,গুম,হামলা আর লক্ষ লক্ষ মামলা দিয়ে কাহিল করার এক অনবদ্য নজির সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি দেশে
এবার আসি মূল কথায়,নাম করণের সার্থকতায় ২০০৬ একটি দলের আশির্বাদ পুষ্ট হয়ে যখন উদ্ভট আজগুবি সরকার দেশে নাযিল হয়ে ক্ষমতার সিংহাসনে বসেন তখন জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নামে বেশ কয়েকটি মামলাও দায়ের করা হয়। সংখ্যার দিক দিয়ে সে মামলার সংখ্যা বেগম খালেদা জিয়ার চেয়ে শেখ হাসিনার প্রায় হাফ ডজন বেশি। রুপ কথার সোনার কাঠির যাদুর ছোঁয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে মামলা বহুত আগেই ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নামে সেই মামলা গুলো বহাল তবিয়তে রয়ে যায়। আর সেই কম সংখ্যক মামলারই খোটা দিচ্ছেন বেশি সংখ্যক মামালা বিবাদীগণ।এজন্য গ্রাম্য সতীনের সেই ঐতিহাসিক উক্তিটি আমার বড্ড প্রায়ই মনে পরে জনৈক প্রশ্ন কর্তা যখন দুই সতীনের কার কতটি ছেলে -মেয়ে এমন প্রশ্ন করেন তখন তাদের মধ্যে এক জন
স্বগৌরবে বলেন -- 
আমার লেরি লেরি ৫টা আর আমার সতীনের ভুইচ্চা ভুইচ্চা টা।
=========================================

প্রতিপক্ষের দোষ তা কম হলেও তার গুরুত্ব বা দোষ বেশি ! আর নিজেদের দোষের পরিমান সংখ্যায় বেশি হলেও তা আবার লেরি লেরি অর্থ্যাৎ কম হয়ে যায় আর সরকারের দৃষ্টির ভুইচ্চা ভুইচ্চা টার অধিকারী বি এন পি যারা একটা রাষ্ট্রীয় সরকার পরিচালনাকারী দল তাদের রাজনীতির টুটি আজ চেপে ধরেছে লেরি লেরি ৫টা অধিকারীরা। আজ তারা দাঁত কেলিয়ে অট্টহাসি হাসতাছে। বিচিত্র দেশ বিচিত্র দেশের রাজনীতি !

আজকাল প্রায় প্রতিদিনই শাসক গোষ্ঠীর কাউকে না কাউতে বলতে শুনা যায় সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে, তাতে কেউ আসলো কি আসলো না তা তাদের ব্যাপার। কথাগুলো যখন সব লোকের মুখ থেকে শুনি তখন আমি তাদের বেহায়াপনা আর নিলজ্জতার জন্য খুব লজ্জা পাই যদিও তারা পায় কিনা জানিনা। তাদের কী একটি বারের জন্য মনে হয় না যে, বি. এন.পি যখন ক্ষমতা ছিল তখন কী দেশে সংবিধান ছিল না? কে. এম. হাসান একজন প্রধান বিচারপতি যে কি-না একটি দলের প্রতি সন্দেহমূলক অনুগত তার অধীনে যদি দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয় তা হলে স্বয়ং একটি দলের প্রধান তার অধীনে দেশে কীভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ? আর তা যে হয় না তার তো উজ্জ্বল প্রমান ২০১৪ এর জানুয়ারীর নির্বাচন।বন্দুকের নল দ্বারা ক্ষমতা হতে পারে গণতন্ত্র হতে পারেনা। ক্ষমতায় থাকা মানেই গণতন্ত্র নয়। গণতন্ত্রে ভোট দরকার হয়,বন্দুকের নল নয় বৃটিশরা ১৯০ বছর ক্ষমতায় ছিল তার মানে বলা যাবে না যে তারা যোগ্য শাসক গণতান্ত্রিক শাসক ছিলেন। বরং বন্দুকের নল আর ক্ষমতা দ্বারা যারা গণতন্ত্র প্রমান করতে চায় তারা বড়ই বেকুব বোকার স্বর্গের অাদিবাসী
তারিখ: ২৭//২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ


No comments