Header Ads

Bangladesh Is a .....

                                                                            উন্নয়ন মানে কী ?
                                                                         এস এম কামাল হোসেন
একটি ব্যক্তি,পরিবার,সমাজ তথা রাষ্ট্রের উন্নয়নের বেশ কিছু সূচক বা মানদন্ড রয়েছে।যার সাহায্য আমরা অবলিলায় বলতে পারি কোন ব্যক্তি,পরিবার,সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।পক্ষান্তরে,কোন নিদিষ্ট ব্যক্তি,গোষ্ঠি যদি উন্নয়নের নিদিষ্ট চশমা পড়ে উন্নয়নের যব তুলতে তুলতে মুখে ফেণা তুলেও ফেলে তবুও তা দিয়ে উন্নয়ন প্রমান করা যায় না।একটি রাষ্ট্রের উন্নয়নের একদিকে রয়েছে বেশ কিছু মেটালিক উপাদান সেই সাথে অন্যদিকে রয়েছে আরও কিছু আপেক্ষিক উপাদান যা দ্বারা কেউ উন্নয়ন/অনুন্নয়ন কে প্রমান করতে পারবে। শুধু মুখের উন্নয়ন দিয়ে উন্নয়নকে প্রমান করা যায় না।আমি উন্নয়নের সূচক সমূহ দ্বারা বর্তমান সরকারের কর্মকান্ডকে সংক্ষিপ্তাকারে বিশ্লেষণ করে আপনাদের সামনে তুলে ধরব আর তা থেকে আপনারা উত্তর খুঁজে নিবেন সরকার কোন সেক্টরে কতটা সত্যিকারে উন্নয়ন বা অবনতি করছে?
একটি রাষ্ট্রের উন্নয়নের সূচক সমূহ ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করতে হলে নিম্মোক্ত বিষয় সমূহ নিয়ে অবশ্যই বিষদ আলোচনা করা অত্যাবশ্যক ।যেমনঃ জাতিসংঘের মানব সূচক উন্নয়ন,মানুষের মৌলিক চাহিদা ।যেমন: খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ওশিক্ষা এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা, গণতন্ত্র,জাতীয় সংসদ, মানবাধিকার, বিচার ব্যবস্থা, নাগরিক সেবাসমূহ, সন্ত্রাস, দূর্ণীতি , খুন, ধর্ষণ ইত্যাদি ইত্যাদি... ।
১.মানব উন্নয়ন সূচক রির্পোটঃ
==========================
বিশ্বের সকল দেশসমূহের জীবন ধারণের মান, শিক্ষা, নিরক্ষরতা প্রভৃতির একটি তুলনামূলক সূচক।জাতিসংঘ নির্ধারিত একটি সূত্রের মাধ্যমে প্রতিবছর নির্ধারণ করা হয় এই পৃথিবীর কোন দেশের মানবিক জীবন ব্যবস্থা কতটা উন্নত। আর মানব উন্নয়ন সূচক নির্ধারণের নির্ধারকগুলি হলোঃ প্রত্যাশিত জীবনকাল, শিক্ষার হার এবং মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন। আর এটাই হল মানব উন্নয়ন সূচক (Human Development Index) | বর্তমানে বিশ্বের ১৮৮ টা দেশ এর সদস্য। এ সরকার আসার পর জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (UNDP)মানব উন্নয়ন সূচক (human development index) - রির্পোট-২০১১ এ দেখা যায় যে,বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন সূচকে ২০১০ থেকে ১৭ ধাপ পিছিয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে প্রায় ৬ বছর ১৪২তমে অবস্থানকরে গত তিন বছরে এই সূচক ১৪২ থেকে ১৩৯ অবস্থান করছে সর্বশেষ ২০১৬ রির্পোট মতে।এখান থেকে প্রথমেই ছোট্ট একটা ধারণা পাওয়া যায় যে , বাংলাদেশ কতটা এগিয়েছে বা পিছিয়েছে ?
২. খাদ্যঃ
==========
মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে প্রথম এবং প্রধান হলো খাদ্য। আর খাদ্য বলতে মানুষের দৈনন্দিন জীবনরে প্রয়োজনীয় এবং অতি প্রয়োজনীয় অনেক কিছু্ রয়েছে। মানুষকে জীবন ধারণের জন্য অনেক প্রকার খাদ্য খেতে হয়। খাদ্যর আবার রয়েছে ধরণও যেমন: নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য, আবার শখের খাদ্য। মানুষের নূন্যতম কিছু খাদ্য না খেলে আমরা বাঁচতেই পারিনা সে খাদ্যগুলোকে দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য বলা হয়।যেমন: চাল,ডাল, আটা,নুন তেল,মসলা, সবজি,মাছ, মাংস ইত্যাদি।কিন্তু বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে আজ এর প্রতিটাই দু:ষ্পাপ্য। সব কিছুই মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।প্রতিটা প্রডাক্ট ধরে ধরে যদি বিশ্লেষণ করা হয় তবে দেখা যাবে যে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন নিত্য প্রযোজনীয় খাদ্য সামগ্রীর মূল্য আকাশচুম্বী।অনেক ভোগ্য পণ্য আজ রেকর্ড এর পর রেকর্ড গড়েছে। যেমন: ৮/৯ বছর পূর্বে ৫ থেকে ৬ টাকার পিঁয়াজ আজ ৮০ টাকা অর্থ্যাৎ দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ১৬ গুণ। গড় প্রতি সবজির দাম ছিল তখন ১০ থেকে ১২ টাকা যা এখন ৬০ টাকা এক্ষেত্রে দাম বাড়ার হার ৫ থেকে ৬ গুণ।তখন চালের দাম ছিল গড়ে ২০ টাকা আর এখন গড়ে ৬০ টাকা। এখানেও দাম হার ৩ গুণ।সরকার দাবী করে শ্রমিক সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে মজুরী দ্বিগুণ করেছে্। সরকারের এ দাবীতে যথেষ্ট পরিমাণ শুভঙ্করের ফাঁকী রয়েছে তবুও তা দ্বারাও সরকার সফলতা্ প্রমান করতে পারছে না।বর্তমান দ্রব্যে মূল্য এক জন শ্রমিক সহ মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার তা শুধু ভূক্তভোগী পরিবার ব্যতিত উন্নয়নের চশমা পড়া ব্যক্তিবর্গ অনূভব করতে পারবে না।
৩.বাসস্থানঃ
============
খবরে পাওয়া যায়, লিবিয়ার নেতা কর্ণেল গাদ্দাফিকে প্রত্যেকটা মানুষের বাসস্থানের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না হওয়া পযন্ত তিনি তাবুতে কাটিয়েছিলেন।যাই হোক,বাংলাদেশে তো আর লিবিয়া নয় যে সরকার কিংবা সরকার প্রধান প্রত্যেক মানুষের বাসস্থানের সুষ্ঠু আবাসান ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত ভাড়া বাড়িতে কিংবা অন্যত্র কাটাবেন যেটা আমাদের পার্শ্ববতী দেশ ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মমতা ব্যানার্জি এখনও করছেন । বরং সরকারের লুটেরার জন্য দেশে আজ ভূমি দস্যু সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে।যারা নিরীহ মানুষের জায়গা জমি কেড়ে নিচ্ছে।এদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ খুবই অতীষ্ট।এদের কারণে মানুষ আদালতে হাজিরা দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে তবুও তারা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন নীতির কারণে দেশে আজ ব্যবসা বাণিজ্য অস্থিরতার রেশ আবাসন সেক্টরেও গিয়ে ধাক্কা লেগেছে। তার প্রমান মাত্র কয়েক মাস পূর্বের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, ঢাকা শহরে প্রায় ৩০,০০০ ফ্লাট পরে রয়েছে এবং প্লাট মালিকরা ৩০% দাম কমিয়েও তা বিক্রি করতে পারছেন না । সেই সাথে নতুন প্লট বা ফ্লাটে গ্যাস সংযোগ দিতে সরকার অস্বীকৃতি ও অক্ষমতা প্রকাশ করছে।ব্যবসায়ীরা তৈরি ফ্লাট বিক্রি না করতে পারলেও ফ্লাট নির্মাতাদের কিন্তু ব্যাংক ঋণের সুদ বৃদ্ধি থেমে নাই ফলে দেশের বাসস্থান সেক্টরে এক চরম বিপর্যয় চলছে তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না।ফ্লাট নির্মাতারই যদি ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা হয় সেখানে ভোক্তার যে করুণ দশা তা আর কারও অনুমানের বাইরে থাকার কথা নয়।
সরকারকে আমরা শুধু প্রকল্প গ্রহণ করতে দেখি। আর এ প্রকল্প গ্রহণের উন্নয়ন টিভি নাটকের মতই উন্নয়ন বিনোদন মাত্র যা পরের দিনই সরকার ও জনগণ উভয়ই ভুলে যায়। কোনো কোনো সমীক্ষায় দেখা যায় সরকার প্রকল্প গ্রহণের পর ২/৩ অর্থ বছরেও ২ থেকে ৫ শতাংশ অর্থ ছাড় দেয়না। আর এ উন্নয়ন কে কচু পাতার উপর পানির মত টলটেলে উন্নয়ন বলা যায়।
৪.শিক্ষাঃ
==========
শিক্ষা একটি দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি। আর এ শিক্ষা হতে হতে পরিকল্পিত শিক্ষা, সুশিক্ষা।হঠাৎ করে কোনো জাতিকে যেমন উন্নয়ন দান করা যায় না তেমনি যায় না শিক্ষার শরবৎ খাওয়ানো। বিদ্যুৎ গতিতে দেখলাম শিক্ষায় পাশের হার বৃদ্ধির পরিসংখ্যান।যেখানে রয়েছে বিশাল গোজামিল।সত্যিকারে এতে করে কমেছে শিক্ষার মান মর্যাদা।আজকে গ্রাম গঞ্জের অতি সাধারণ মানুষ ও সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে দেদারছে সমালোচনা করছে। একটি মাত্র উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা পরিস্কার করছি- সপ্তাহ খানেক পূর্বে একটি অটোরিক্সা যোগে আমার নিদিষ্ট গন্তব্য ফিরছিলাম।পথি মধ্যে একটা মাধ্যমিক স্কুল অতিক্রম করার সময় নীরবতা ভেঙ্গে ড্রাইভার মুখ খুলল।আমার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিল,“আজকাল স্কুলে কী লেখাপড়া হয়?” আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কেন ? সে বলল, গত বছর আমার ছেলে এই বিদ্যালয় থেকে ক্লাস এইটে পরীক্ষা দিয়েছে, ভালো করে একটি দিনও ছেলে আমার ক্লাসে যায়নি বাসাও পড়েনি তার পরও সে পাশ করল কীভাবে?
এরকম নজির আপনার চারপাশে শত সহস্র পাবেন যদি একটু চোখ কান খোলা রাখুন।আমার কাছে এমনও বহু প্রমান রয়েছে যে এস.এস.সি’র টেস্ট এ ৬ বিষয় ফেল করে ও এস এস সিতে এ গ্রেডে পাশ করেছে।নো,এটা কোন ইনসিডেন্ট নয় ইট’স কন্টিনিউয়াস হ্যাপেনিং।সরকার বাহাদুর নিজেকে খুব চালাক আর পাবলিককে অন্ধ,কালা,লুলা ভাবছে।তাতে করে সরকার তার নিজের ও দেশেরই ক্ষতি করছে।
আমরা হয়ত শ্রীংলঙ্কাকে ছুঁতে চেয়েছিলাম।তা কিন্তু দোষের নয়,তবে রাতারাতি গোজামিল দিয়ে তা চাওয়া খুবই বুদ্ধিমানের কাজও নয়।সরকারের ললাটে আজ প্রশ্ন ফাঁসের বিশাল কালো দাগ যা সহজেই মুছে যাবার নয়।সেই সাথে পি.এস.সি, জে.এস.সি, এস.এসসি ও এইচ.এস.সি’র গোল্ডেন বয়/গার্লদের দেখছি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় গড়ে ৮৫% হারে ফেল করছে।যা জাতীর জন্য খুবই হাস্যকর, লজ্জাজনক ও তামাশাজনক। শিক্ষার উন্নয়নের(!)জন্য শিক্ষা মন্ত্রীকে নিয়ে যে ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও পাওয়া যায় ইউটিউবে তা শুনে শিক্ষামন্ত্রী লজ্জা না পেলেও সাধরণ মানুষ হিসেবে আমি বিব্রত বোধ করি।
শিক্ষায় সরকার বিশেষ করে পাঠ্যপুস্তকের উপর অনেক বড় বড় সার্জারী চালিয়েছে কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সরকার তার নিজের চিন্তা চেতনা দিয়ে নিজস্ব ভঙ্গিতে পাঠ্য পুস্তক সাজালেও তা অধিকাংশ ছাত্র,শিক্ষক ও অভিভাবকের কাছে জনপ্রিয়তা পায়নি বরং তা সংখ্যাগরিষ্ঠের মনে দাগ কাঁটার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের পলিসি মেকিং এ যে ভুল আছে তার প্রমান হলো-সরকার বারবার ছাত্র/শিক্ষকের মাঝে নিত্য নতুন বিধি বিধান ঢালছে।যার বেশির ভাগই সিদ্ধান্ত এমন যে,কখনও পুরান বোতলে নতুন মদ আবার কখনও নতুন বোতলে পুরান মদ ঢালার মত।
এবার কিছু বলতে চাই কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থায় মানব সম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশ প্রসংঙ্গে ।পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে যে,আমাদের দেশের মানব সম্পদ এখনও সেই এক যুগের পুর্বের অবস্থানেই রয়েছে।তারা যুগের ঘূর্ণিপাকে নিজেদেরকে স্কীলড করে দেশ বিদেশে সুনাম সুখ্যাতি বয়ে নিয়ে আনতে পারছে না।মধ্যে প্রাচ্য সহ ইউরোপে এখনও আমাদের দেশের নাগরিকরা লেবার-শ্রমিক,আয়া,বুয়া,ঝি বড় জোড় সেলস ম্যানের কাজ করছে।বিদেশে মধ্যমানের বিভিন্ন স্কীলড জনগোষ্ঠীর ব্যপক চাহিদা থাকলেও সরকার তার দিকে কোন বিশেষ নজর দিচ্ছে না।।অথচ এ ক্ষেত্রে দেশের কারিগড়ি শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের তরুন তরুনীদের বিশেষ কোনো সাড়া দিতে পারছে না। দেশের কারিগড়ি শিক্ষা ব্যবস্থা বেশীরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত শুধু সার্টিফিকেট বিলি করছে।নেপাল,ভারত,পাকিস্থান,ইন্দ্রোনেশিয়া,ফিলিপাইনস সহ অন্যান্য দেশের শ্রমিকের তুলনায় আমাদের দেশের শ্রমিকরা খুবই নিম্ন মানের কাজ করছে।এক্ষেত্রে সরকার তার সফলতা কোথায় লুকিয়ে রেখেছে তা জনসম্মুখে উম্মোচন করা দরকার। ইদানিং সরকারের ভিতর তোলপাড় শুরু হয়েছে রেমিটেন্স ব্যাপক হারে কমে যাওয়ার জন্য।
৫.কম্পিউটার ও শিক্ষা প্রযুক্তি ব্যবহারঃ
===============================
বর্তমান যুগ শিক্ষা প্রযুক্তি ও কম্পিউটার ও ইন্টানেটের যুগ।আজ সারা পৃথিবীর নিম্ন ও নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের নাগরিকরা কম্পিউটারের মাধ্যমে জ্ঞান কে কাজে লাগিয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করছে। আর বাংলাদেশ হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে চলছে।শুধু ঝাঁক-জমক স্রেলিব্রেটি শো দেখি মাঝে মাঝে টিভিতে। কিন্তু কাজের কাজ তেমন কিছুই দেখছি না।পৃথিবী জুড়ে আউট সোসিং এর বিশাল এক মার্কেট রয়েছে।যা আমাদের দেশের শিক্ষিত স্কীলড ছেলেমেয়েদের আয়ের উপযুক্ত ঠিকানা হতে পারে। কিন্তু তাতে সরকার কিছুই না করে বরং মূলা ঝুলাচ্ছে।অবস্থা এমন যে ব্যক্তি উদ্যোগের গার্মেন্ট আজ প্রতিষ্ঠিত হয়ে লাখ লাখ অশিক্ষিত শ্রমিকের( অল্প পরিমান শিক্ষিত) আয়ের ঠিকানা হয়েছে আর ক্রেডিট নিচ্ছে সরকার যে আমরা এত এত বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছি।এ ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনি। তারা ব্যক্তি উদ্দ্যেগের কষ্টের সফলতা ভাগীদার হওয়ার জন্য হাত পা ছোড়া ছুড়ি করছে।
দেশে লক্ষ কোটি টাকা দূর্ণীতি হচ্ছে,পাচার হচ্ছে। কৈ সরকারকে কে তো দেখিনা দেশের শিক্ষিত ১০ কিংবা ৫০ লক্ষ ছেলে মেয়েদের জাতীয় ভাগে ডেকে ১ কোটি হোক আর ৫০০ কোটি হোক সে টাকা ব্যয়ে তাদের স্কীলড করে জাতীর বেকার সমস্যা সমাধানের কমসূচী হাতে নিয়েছে। আমরা সবই শুনি বাস্তবে তা দেখিনা।বরং এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি উদ্দ্যেগের যতটা প্রসার দেখি তার শত শত মাইল দূরে অবস্থান করছে আমাদের সরকার। ছো্ট্ট একটা পরিসংখ্যান আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে চাই ইন্টারনেট ভিত্তিক আউট সোসিং এ ভারতের যেখানে বার্ষিক আয় ৫০০ বিলিয়ন ডলার আর বাংলাদেশের সেখানে আয় মাত্র ৫০০ মিলিয়ন ডলার অর্থ্যাৎ ভারতের ১০০০ ভাগের ১ ভাগ। সরকারের কাছে প্রশ্ন আমরা কী ভারতের চেয়ে জনসংখ্যা কিংবা মেধায় ১০০০ ভাগের ১ ভাগ ?এ সেক্টরে পাকিস্থান ও শ্রীলংকাও অনেক শক্তিশালী অবস্থানে আবস্থান করছে।অথচ আমরা কিন্তু ডিজিটাল সরকারের ডিজিটাল যুগের স্বর্গে বসবাস করছি !
অতি সম্প্রতি ওয়াল্ড ইকোনোমিক ফোরামের রিপোর্ট মতে-বাংলাদেশের বর্তমান বেকারের সংখ্যা ৪ কোটি ৬৬ লক্ষ।অথচ সরকার উন্নয়নের মহাকাশে পৌঁছে গেছে বলে দাবী করে যা সত্যিই হাস্যকর।
--- এস এম কামাল হোসেন

No comments