Header Ads

Bangladesh Is a .....

                                                                      জাতী শোকাহত,মর্মাহত,লজ্জাহত!
                                                                      =========================
ঘটনা-১:
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত।
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন স্কুলছাত্র। মঙ্গলবার(২০/৬/২০১৭) বেলা ১১টার দিকে মহেশপুর উপজেলার খোসালপুর বিজিবি বিওপির ওপারে ভারতের নদিয়া জেলার কুমারীপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে এ ঘটনা ঘটে। মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়নের খোসালপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা। অপরজন পাশের শ্যামকুড় ইউনিয়নের শ্যামকুড় গ্রামের কাওসার আলীর ছেলে হারুন অর রশিদ। স্থানীয় নেপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছামছুল হক মৃধা এ খবর নিশ্চিত করেছেন।খোসালপুর মাঠের কাছে ভারতে কুমারীপাড়ায় গুলি চালিয়ে দু’জনকে হত্যা করে লাশ নিয়ে যায়।
ঘটনা-২:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভিডিও বার্তা প্রচারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নারী-পুরুষের যোগ ব্যয়াম অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
আজ (২১.৬.২০১৭ইংতারিখ রোজ বুধবার) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার কয়েক হাজার নারী-পুরুষ একত্রে যোগ ব্যয়াম করেন। ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন এই ব্যয়ামের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভিডিও বার্তা প্রচারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। যোগ বিষয়ক ভারত বিচিত্রার বিশেষ সংখ্যারও মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন যোগগুরুরা আসন সম্পাদন করেন। এ সময় স্টেডিয়ামে সবাই অভিন্ন যোগ ব্যয়াম করেন।
বন্ধুরা, আপনাদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য দু’দিনের দু’টি ঘটনা উল্লেখ করলাম।অর্থ্যাৎ ২০.৬.২০১৭ তারিখ বাংলাদেশের দুটি তাজা প্রাণ কেড়ে নিল যে দেশের সরকারি পোশাক পরিহিত লোকের বুলেটে আঘাতে।আর তার ঠিক পরের দিন অর্থ্যাৎ আজ ২১.৬.২০১৭ ইং তারিখ সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশে যোগ ব্যায়াম অনুষ্ঠান উদ্ভোদন করেন।আর সেখানে উপস্থিত ছিলেন আমাদের দেশের মহান জাতীয় সংসদের স্পীকার এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ।যুবকের মৃত্যূতে সরকার,যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া নেই, নেই মহান সংসদের মহা মাননীয় স্পীকারের! কী অদ্ভুদ নতজানু পররাষ্ট্রনীতি! বরং উল্টো ক্রিয়া দেখা গেল আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।
আমাদের দেশের কতিপয় মূর্তী পূজারী, শাহবাগী, দাড়ী ছাড়া গোঁফধারী, চেতনার বেশ্যাধারী দের এসব নিয়ে কোন টু শব্দ শোনা যায় না। এরা মুর্তীর জন্য কাঁদে, জীবনের শ্রেষ্ঠ কাঁদা কাঁদে। রাতে মশাল নিয়ে চেতনার স্রোত বয়ে দেয় কিন্তু সীমান্তে আমার মা বোনদের ইজ্জত লুটে, বাড়ীঘর থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে মৃত্যূ নিশ্চিত করে ফেলে দেয়, এমনকি আমার দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে এরা গুলি করে তবুও সরকার এবং ঐ সব চেতনাধারীদের চেতনায় হুল ফোঁটে না।মুখ থেকে কোন কথা বের হয় না।কারণ তাহলে ওদের চেতনার বেশ্যাবৃত্তি যদি বন্ধ হয়ে যায়!
সময় এসেছে আজ সবার এগিয়ে আসার এসব হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করার। আমরা যদি ষোলো কোটি কন্ঠ যদি এক সাথে আওয়াজ দেই তবে তা বন্ধ হতে বদ্ধ পরিকর। রাত্রি যতই গভীর ও অন্ধকার সকাল ততই সন্নিকটে। তাই আমাদের জেগে ওঠতে হবে, সোচ্চার হওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নাই।নতজানু সরকার , নত জানু পররাষ্ট্রনীতি ও চেতনাধারী সুশীল-কুকিল দের আশা ছেড়ে দিয়ে জেগে উঠতে হবে ষোলো কোটি কন্ঠস্বর রে এক সাথে, বলতে হবে বন্ধ কর, বন্ধ কর, করতে হবে সীমান্ত হত্যা ।
এস এম কামাল হোসেন
তারিখঃ(২১/৬/২১০৭)

No comments